সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজেও রাজস্ব আদায়ে ধস : চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ২১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা

বাণিজ্য ডেক্স : চলতি অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে যা ৩০ শতাংশ বেশি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে আয় বাড়বে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা এলে ভ্যাট বাস্তবায়ন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব আদায় ল্যমাত্রার চেয়ে ২১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঘাটতি হয়েছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের রাজস্ব আদায়ের ল্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৭০৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কিন্তু আয়কর, ম‚ল্য সংযোজন কর এবং শুল্ক- এ তিন খাত মিলিয়ে আদায় হয়েছে ৭৯ হাজার ৭৩২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় একই সময়ে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

একক খাত হিসাবে ৫ মাসে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ২৬ হাজার ১০৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ভ্যাট খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ৯৫৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। একই সময় আয়কর খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ হাজার ১৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লক্ষক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২১ হাজার ৯৯২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

সরকারের লক্ষ্য ছিল, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে আয় বাড়বে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা এলে ভ্যাট বাস্তবায়ন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের রাজস্ব আহরণের তথ্য যোগ হলে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি আরো বৃদ্ধি পাবে।

শুল্ক স্টেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। গত অর্থ বছরেও ঢাকা কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায় ধস নেমেছিল। এবার ধস নামার অন্যতম কারণ হলো- এয়ারফ্রেইট আমদানি শাখার ৩টি গেট উন্মুক্ত করে দেয়া, এসআরও, হোয়াইট কার্ড-এর নামে শুল্ক ফাকি দিয়ে পণ্য খালাস দেয়ায় ঢাকা কাস্টমস হাউজে প্রতিদিন  প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে বলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান। আর এতে সরকার হাজার কোটি রাজস্ব হারালেও এয়ারফ্রেইট কেন্দ্রিক ২০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চুনোপুটি থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। হাউজ কমিশনার আব্দুল মান্নান শিকদারের সাথে ‘সাপ্তাহিক কন্টাক্টের’ ভিত্তিতে ওই ২০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেড নামকাওয়াস্তে পণ্যের ট্যাক্স দিয়ে দেদারচ্ছে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের নামে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কমিশনারের সাথে ওই ২০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেডের বনিবনায় ঘাটতি দেখা দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ২/৩ দিনের জন্য ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজের আইওয়াশের জন্য একযোগে বছরের শুরুতে ৪৮ কর্মকর্তাকে আন্ত: বদলিতে একমাত্র যুগ্ম কমিশনার মুহা: মাহবুবুর রহমানকে এয়ারফ্রেইট ইউনিটের দায়িত্ব দেয়ায় ২০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেড আতংকে আছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, জেসি মাহবুব নাকি ‘ননটেকার’। চলবে
 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।