বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
„খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে হামলা-ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাস-লন্ঞ ধর্মঘট : তবুও সমাবেশ অনুষ্ঠিত : ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না, সবকিছু বন্ধ করেও  জনস্রোত আটকানো যায়নি’

ডেক্স রিপোর্ট : খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ৩ দিন আগে থেকে বাস-লন্ঞ ধর্মঘট, কর্মীদের গ্রেফতার, সংঘর্ষে আহত হবার দাবি বিএনপির , তবুও কিন্ত খুলনায় বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করা যায়নি, ২২ অক্টোবর শনিবার নির্ধারিত সময়ে আগেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিকাল সাড়ে ৪ টায় তা শেষ হয়েছে। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, দেখেন, সব কিছু বন্ধ করেও জনস্রোত আটকানো যায়নি ( প্রথম আলো)।রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না( আমাদের সময় ডটকম)।

এ দিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে  খুলনার নিউ মার্কেট ও রেল স্টেশন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং স্টেশনের দরজার গ্লাস ভাঙচুর করে।  জাগো নিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজবাংলা

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিছিল থেকে ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু নিউমার্কেট বাইতুন নূরের সামনে আওয়ামী লীগ- যুবলীগের আরেকটি অংশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে বিএনপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে শিববাড়ির দিকে ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বায়তুন নূর মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়।

অপরদিকে বিএনপি সমাবেশে আগতদের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে খুলনা রেল স্টেশনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের একটি অংশ রেল স্টেশন এলাকায় বিএনপি কর্মীদের বাধা দিলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে রেল স্টেশনের দরজার গ্লাস ভাংচুর করা হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়।  তবে পুলিশ বলছে, কাউকে বাধা দেয়া হয়নি।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে তর্কে জড়ায় আগতরা। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

বিএনপি নেতা মনা বলেন, ‘একটা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এবং পুলিশের এমন তাণ্ডব খুলনাবাসী কখনো দেখেনি। পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের এক দিন আগেই নেতাকর্মীরা খুলনায় প্রবেশ করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আজও আসছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সব নেতা খুলনায় পৌঁছে গেছেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন জাগো নিউজকে বলেন, কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।