শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ড্রতে রক্ষা জার্মানির

খেলা ডেক্স : জাপানের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর জার্মানির টিকে থাকতে জয় চাই, আর স্পেনের জয় দরকার  শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করতে। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে গোল হজম করে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ে জার্মানি। স্পেন শিবিরে তখন বইতে শুরু করেছে নকআউট পর্বের যাওয়ার হাওয়া। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জার্মানরা এরপরই ঘুরে দাঁড়ায়। বদলি খেলোয়াড় ফুলক্রুগের গোলে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল আল বাইত স্টেডিয়ামে দুই দলের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে। এই ড্রতে জমে উঠলো ‘ই’ গ্রুপের হিসাবনিকাশ। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে স্পেনই শীর্ষে। সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুই ও তিনে জাপান ও কোস্টারিকা। প্রথম পয়েন্ট পাওয়া জার্মানি তলানিতে থাকলেও সুযোগ আছে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার।
জাপানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা জার্মানরা ম্যাচ শুরুর আগেই সুখবর পেয়েছিল।

সেই সুখবরটা আবার এসেছিল জাপানের কাছ থেকেই! জাপান কোস্টারিকার কাছে হেরে যাওয়াতেই যে নিশ্চিত হয়ে যায় অন্তত গতকালই শেষ হচ্ছে না জার্মানির বিশ্বকাপ অভিযান। স্পেনের কাছে হারলেও টিকে থাকতেন নয়্যাররা। শেষ পর্যন্ত স্পেনকে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট পেয়েই নিজেদের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে জার্মানি। স্পেন শেষ পর্যন্ত হতাশ হলেও নিরপেক্ষ দর্শক দারুণ এক ম্যাচেরই সাক্ষী হলেন। দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে বল বেশি দখলে রেখেছিল স্পেন। তবে বেশি সুযোগ পেয়েছিল সবশেষ ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
কোস্টারিকাকে সাত গোলের বন্যায় ভাসানো স্পেন কাল শুরুতেই গোল পেতে পারতো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর বুলেট গতির শট গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের হাতে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়। অবশ্য গোলটি হলে দায় এড়াতে পারতেন না নয়্যার। বলে যথেষ্ট গতি থাকলেও তার আয়ত্ত্বেই ছিল এবং অনায়াসে ধরা উচিত ছিল; কিন্তু বলের গতি-প্রকৃতি যেন বুঝতেই পারেননি ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়কদের একজন এই নয়্যার। ৩৪তম মিনিটে দানি ওলমোর পাস বক্সে দারুণ পজিশনে পেয়েই উড়িয়ে মারেন ফেরান তোরেস। লাইন্সম্যান তোলেন অফসাইডের পতাকা। পাঁচ মিনিট পর আন্টোনিও রুডিগার হেডে বল জালে পাঠালে উল্লাসে মাতে জার্মানি, তবে ভিএআরে অফসাইডের সিদ্ধান্তে থেমে যায় তাদের উদযাপন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠ দখলে রেখে খেলতে থাকে স্পেন। তার সুফল আসেও। মাঠে নামার ছয় মিনিটের ভেতরেই গোল করে স্পেনকে এগিয়ে নেন আলভারো মোরাতা। বামপ্রান্ত থেকে জর্দি আলভার ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে আলতো টোকায় বল জার্মানির জালে পাঠান মোরাতা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল করেন ৫৬ মিনিটে তোরেসের পরিবর্তে মাঠে নামা মোরাতা। গোল হজমের পর গোল পরিশোধে মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে জার্মানি। তার সুফল আসে ম্যাচ শেষ হওয়ার সাত মিনিট আগে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে জার্মানির হয়ে গোল করেন ফুলক্রুগ। ৭০ মিনিটে টমাস মুলারের বদলি হিসাবে মাঠে নামেন এই ফরোয়ার্ড।  লিরয় সানের পাস থেকে জামাল মুসিয়ালার পা ঘুরে বল আসে ফুলক্রুগের কাছে। দুর্দান্ত এক শটে জার্মানির জার্সিতে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তাতে বিশ্বকাপে টিকে রইলো চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১লা ডিসেম্বর আল বাইত স্টেডিয়ামে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে জার্মানি। একই দিনে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানের মুখোমুখি হবে স্পেন। ওইদিন কোস্টারিকাকে বড় ব্যবধানে হারালেই চলবে না, স্পেন যেন জাপানকে হারায় সেই প্রার্থনাও করতে হবে চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে।

 

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।