সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বরুয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী, চাদাবাজ,ভুমিদস্যু, জবরদখলকারি, একাধিক মামলার আসামি মোজাম দেওয়ান পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে : ১০ লাখ টাকার চাদার দাবির অভিযোগটি থানায় পড়ে আছে, মামলা নিচ্ছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বরুয়া এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী,চাদাবাজ, ভুমিদস্যু, জবরদখলকারী , বিএনপি- জামায়াতের প্রেতাত্মা,বিএনপি পরিবারেরর সদস্য, ভাই মোবারক দেওয়ান যুবদল নেতা, ডিএমপির বিভিন্ন থানার একাধিক মামলার আসামি পুলিশের নাকেরডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসিরা অভিযো করেন।৪৮ নং ওয়ার্ড ৯ নং ইউনিট আওয়ামীলীগ সভাপতি , ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক দেওয়ান মো. শহিদুর রহমানকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে মোজাম, সোহাগ, খাইরুল, সোহাব উদ্দিন গংরা মারধর করে প্রায় ২ ঘন্টা তার বাড়িতে (সন্ত্রাসী মোজাম) আটকে রাখার পর ১০ লাখ টাকা চাদা দাবি করা হয়, নগদ ১ লাখ টাকা দিয়ে এলাকবাসির সহায়তায় তিনি মুক্ত হন।
এ ঘনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা নং-৪১ , তারিখ: ২৩.৬.২০২২ইং। পুলিশ ১ নং আসামি মোজাম দেওয়ানকে গ্রেফতার করছে না। অন্য আসামিরা সোহাগ, খাইরুল, সোহাব উদ্দিন । ঘটনাটি গত বছরের জুন মাসের ।
এবার আবারও গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী মোজামের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতার বাউন্ডারি ঘেরা জমিতে প্রবেশ করে মোটা অংকের চাদা দাবি করে , দাবিকৃত চাদা না দেয়ায় বাউন্ডারি ওয়াল, পিলার ভেংগে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আওয়ামীলীগ ইউনিট সভাপতি দেওয়ান মো. শহিদুর রহমানের মামলা না নিয়ে অভিযোটি রেখে দেয়। সন্ত্রাসী মোজামের সাথে গোপন সমঝোতায় ওসি মামলা নিচ্ছেনা বলে আওয়ামীলীগ ইউনিট সভাপতি শহিদুর রহমান জানান।
গতকালও ( ২৮.২.২৩) তারিখে মোজামের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড’র ফিরিস্তি দিয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।জিডি নং-১৭৭৭ তারিখ;২৮.২.২০২৩। জিডিটি করেছেন মাহবুব আলম।এসআই দীন মোহাম্মদকে জিডি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন ওসি কাজি সাহান হক।
খিলক্ষেত, বরুয়া মোজাম্মেল হক ওরফে মোজাম বাহিনীর নেতৃত্বে এলাকায় এমন সন্ত্রাসী ঘটনা নিত্যদিনের। সারাজীবনের ইনকাম দিয়ে কেউ জমি কিনে বাড়িঘর করতে গেলে মোটা অংকের চাদা দাবি করা হয়, জমি বিক্রি করলে ক্রেতা-বিত্রেুতার থেকে লাখ লাখ টাকা চাদা করে সন্ত্রাসী মোজাম বাহিনী। এমনকি মোজামের আপন ভাইও তার চাদাবাজির শিকার বলে জানা যায়। ফলে এলাকবাসি সন্ত্রাসী মোজাম বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট। চাদাবাজি করে এককালের বাটা সু কোম্পানির লেবার এখন কোটি কোটি টাকার মালিক মোজাম।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মারফত দেওয়ানও সন্ত্রাসী মোজামের হাতে মারধরের শিকার হন।বাউথার এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা নাজিমুদ্দিনের এক আত্মীয়ের জায়গায়ও দখল করেছে সন্ত্রাসী মোজাম বাহিনী।
এলাকবাসির প্রশ্ন বিএনপি-যুবদল করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কিভাবে টিকে আছে সন্ত্রাসী মোজাম দেওয়ান। তাহলে প্রশাসন কি তাকে শেল্টার দিচ্ছে, নাকি ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ তাকে দাবার ঘুটি হিসেবে শেল্টার দিচ্ছে। তাকে শেল্টারদাতা হিসেবে একজন গোল্ড স্মাগারের নামও শোনা যায়, তিনি আবার ডিএনসি নর্থ-এর একটি ওয়ার্ডের কমিশনার।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। চলবে

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।