সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
কাস্টমসে চুরি যাওয়া স্বর্ণের ৯৪ ভরি উদ্ধার, ৮জন রিমান্ডে , ৪ জন সাসপেন্ড, এসি, ডিসি, জেসি, এডিসি এখনও ধরাছোয়ার বাইরে

একুশে বার্তা রিপোর্ট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসের গুদাম থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় ৮জন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে । আর চুরি হওয়ার স্বর্ণের মধ্যে ৯৪ ভরি উদ্ধার করা হয়েছে। মূল্যবান গুদামের দায়িত্ব প্রাপ্ত এসি, ডিসি,জেসি, এডিসি এথনও ধরা-ছোয়ার বাইরে। এরা কি দায় এড়াতে পারেন।

১৩ সেপ্টেম্বর  বুধবার দুপুরে গ্রেফতার ওই আটজনকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬), সাইদুল ইসলাম সাহেদ (৩৩), আকরাম শেখ (৩৬) ও মো. মাসুম রানা (৩৩)। আর সিপাহীরা হলেন মো. মোজাম্মেল হক (৩৫), মো. নিয়ামত হাওলাদার (২৭), মো. রেজাউল করিম (৩৬) ও মো. আফজাল হোসেন (২৯)।

আর চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৯৪ ভরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।

বিপুল পরিমাণ এই স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনা সামনে আসে গত ৩ আগস্ট। বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সংরক্ষিত এলাকায় থেকে চুরি হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এটি চুরি নাকি ভেতরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আত্মসাৎ করেছে তা নিশ্চিত না।

পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, এটি মোটেও চুরি নয়। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কেউ এগুলো সুকৌশলে আত্মসাৎ করেছে। সন্দেহের প্রাথমিক তালিকায় আছেন, গুদামে কর্মরত চারজন সিপাহি ও চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৪২৬টি প্যাকেজ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক গুদাম থেকে অল্প অল্প করে স্বর্ণ গায়েব করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫৫ কেজি।

২০২০ সালে জব্দ হওয়া স্বর্ণ কেন তিন বছর ধরে বিমানবন্দরে পড়ে থাকবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এদিকে বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় মঙ্গলবার চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ।

দবরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন– সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম সাহেদ, মো. শহীদুল ইসলাম, মাসুম রানা ও আকরাম শেখ।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।