বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এবার ঘুষ নয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ব্যর্থতায় সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী

স্টাফ রিপোর্টার : এবার ঘুষ নয়- প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধের  ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ দাবী করেছেন  জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি ক্ষোভ করে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন মহামারি আকার রূপ নিয়েছে। তাই শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করুন। নতুবা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো তাঁকে বরখাস্ত করে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করুন।

৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্যে শেষে সভাপতির আসনে থাকা ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি শুনেছেন। তিনি তাঁর বিবেক বিবেচনায় জাতির স্বার্থে যতটুকু প্রয়োজন অবশ্যই তিনি তা করবেন।

ফ্লোর নিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, প্রশ্ন ফাঁস মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, প্রশ্নফাঁস ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে। অথচ আজ সোমবার তুষার শুভ্র নামে একটা সাইডে বলা হয়েছে- ইংরেজি প্রশ্ন আছে সংগ্রহ করতে হলে এত টাকা লাগবে!

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে এবং হচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই কয়েক বছরে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। কিন্তু আগামি প্রজন্মকে যদি সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত না করতে পারি তাহলে এতো উন্নয়ন-অগ্রগতি অর্থহীন হবে। তিনি বলেন, আগামি প্রজন্মকে যদি সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি, শুধুমাত্র সনদ বিক্রির জন্য যদি শিক্ষিত করি তাহলে তো কিছুই শিখবে না। এই শিক্ষা অর্থহীন। আমরা চাই সত্যিকার শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রীও চান জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ, আমরাও চাই জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ।

জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, আমরা আগামিতে কাদের হাতে দেশটা দিয়ে যাব? শিক্ষিত সমাজ ছাড়া সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আপনারা ঘুষ খান তবে সহনীয় পর্যায়ে। তিনি এও বলেছেন আমিও ঘুষ খাই, অন্য মন্ত্রীরাও ঘুষ খান। এটা বলার পরে উনি কী মন্ত্রী হিসেবে আর থাকতে পারেন? আর একজন মন্ত্রী কী একথা বলতে পারেন? এটা যখন ছাত্ররা শুনবে মন্ত্রী বলছেন সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খেতে তাহলে প্রশ্নফাঁস ঠেকাবেন কিভাবে? শিক্ষামন্ত্রীর উচিত ছিল সেদিনই পদত্যাগ করা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, মন্ত্রী যখন বলেন ঘুষ সহনীয় মাত্রায় খেতে, তখন তাঁর কথা কেউ শুনবে না। তাঁর সচিবও শুনবে না, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শুনবেন না, কেউ শুনবেন না। মন্ত্রী যেখানে ঘুষ খেতে উৎসাহিত করছেন, তাহলে কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করবেন, এটা আমার বোধদয় হয় না। তাই অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়ম স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করুন। অথবা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি তাঁকে বরাখাস্ত করে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করবেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।