মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এখন কেন সুচিত্রা সেনের দেখা মেলে না

মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের পাবনা জেলা শহরের বাড়িটি কৈশোর থেকেই আমার কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। কারণ ওই বয়স থেকেই আমি সুচিত্রা সেন অভিনীত ছায়াছবির একজন ভক্ত। তারপর কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণের পর সুচিত্রা-উত্তমের ছবি দেখা একটি নেশায় পরিণত হয়েছিল।

সিনেমা হলে ওই জুটির পোস্টার-ব্যানার লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি সাড়ে আট আনা পয়সা জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। মায়ের কাছ থেকে খাতা-পেনসিল-কলম ইত্যাদি কেনার নাম করে কৌশলে সে পয়সা ম্যানেজ করেই সিনেমা হলে ঢুকে পড়তাম। অতঃপর সে জীবন পার করে কর্মজীবনে যখন ভিসিআরের যুগ এলো, তখন প্রথম সুযোগেই একটি ভিসিআর কিনে তাতে ক্যাসেট লাগিয়ে ছেলেবেলায় দেখা সেসব ছবি আবার ঝালিয়ে নিতাম।

এখন এই প্রবীণ বয়সে সেসব কথা মনে পড়লে আজও সুখানুভূতি অনুভব করি। মনে হয়, কী সুন্দরই না ছিল সুচিত্রা সেনের সেসব ছায়াছবি! ‘হারানো সুর’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘সবার উপরে’- এসব ছবি এখনও মনে দাগ কাটে। অথচ বর্তমানে কলকাতায়ও ওই ধরনের সুন্দর সুন্দর গল্প, সুন্দর সুন্দর কথামালায় সাজানো গান দিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয় না। বর্তমানে কলকাতার ছায়াছবিতেও ওই ধরনের রোমান্টিক চেহারার নায়ক-নায়িকার উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় না।

আবার এপার বাংলায় যেসব চলচ্চিত্র তৈরি হয়, সেক্ষেত্রেও ষাট-সত্তরের দশকের মতো মনমাতানো গল্প, গান, সুর দিয়ে তা নির্মিত হয় না। এমনকি যে আমজাদ হোসেন এই সেদিন ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ বানিয়ে দর্শকদের চমৎকৃত করেছিলেন, নারায়ণ ঘোষ মিতা ‘লাঠিয়াল’ বানিয়ে আমাদের মতো দর্শকদের যেভাবে সিনেমা হলে টেনে নিয়েছিলেন, আজিজুর রহমান ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’ ইত্যাদি ছবি বানিয়ে যেভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন- সেসব চলচ্চিত্রকারের হাত দিয়েও এ দেশের বাংলা সিনেমা এখন আর কিছু পাচ্ছে না। ওপার বাংলায় না হয় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এখন আর নেই, সত্যজিৎ রায়ও গত হয়েছেন; কিন্তু তাই বলে দুই বাংলার কোনো স্থান থেকেই কিছু নান্দনিক চলচ্চিত্র বেরিয়ে আসবে না কেন, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না। এ মুহূর্তে ওপার বাংলার দু-চারটি ছবি সিডির মাধ্যমে দেখতে পারলেও তার প্রায় সবক’টিতেই নান্দনিকতার ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানকার বেশিরভাগ ছবিতেই ভাল্গারিজমের আধিক্য। তারা মুম্বাইয়ের (বোম্বে) অনুকরণ করতে গিয়ে না ঘরকা না ঘাটকা ধরনের ছবি বানাচ্ছেন। সুচিত্রা সেনের নাতনিদের নিয়ে ছবি বানাতে গিয়েও তাদের অপব্যবহার করছেন। রাইমা সেনকে কাস্ট করে তাকে দিয়ে অভিনয় করানোর পরিবর্তে পণ্য হিসেবে ব্যবহারের দিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে পশ্চিম বাংলার চলচ্চিত্রের দুর্দশা দেখলে খুব খারাপ লাগে। মনে পড়ে সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী, সুপ্রিয়া দেবী, মালা সিনহা, অপর্ণা সেনদের কথা। তারা যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন, সেসব ছবির চমৎকারিত্বের কথাও মনে পড়ে। মনে হয় এই পশ্চিম বাংলা কি সেই পশ্চিম বাংলা? কোথায় হারিয়ে গেল সেদিন, যেদিন বাংলা চলচ্চিত্রের কাহিনী, গান, সুর মানুষকে অপার আনন্দ দিত, নির্মল বিনোদনে মানুষের মনকে ভরিয়ে তুলত? যদিও চলচ্চিত্রে সবসময় সবকালেই কিছু না কিছু নেতিবাচক কথাবার্তা, দৃশ্যাবলি থাকতই; তবে সে সময়ের চলচ্চিত্রে এসব নেতিবাচক কথা, দৃশ্য এত কম থাকত যে ইতিবাচক কথাবার্তা, ধ্যানধারণা, চিন্তা-চেতনার কাছে এবং দর্শকদের মনের আনন্দের জোয়ারে তা ভেসে যেত। আমার নিজের ক্ষেত্রে বলব, অতীতের সেসব সিনেমা থেকে আমি বড় ও ভালো কিছু হওয়ারই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। নেতিবাচক কোনো কিছু আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। অথচ এখন সিনেমা হলে ঢুকলে দর্শকদের যে সুড়সুড়ি দেয়া হয়, তাতে মন খারাপ হয়ে যায়। দুই বাংলার ছবিতেই এখন একই অবস্থা। সিনেমা হলে ঢুকলে এখন একটার সঙ্গে আরও একটা ফ্রি। অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রে যে ছবিটা দেখতে গেলেন, তার সঙ্গে একটা গরম ছবি বা ব্ল– ফিল্মের কাটপিস ফ্রি দেখানো হয়। এই মাত্র সেদিন কলকাতা গিয়ে একটি সিনেমা হলে ঠিক এমনটিই দেখানো শুরু হলে হল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। বাংলা চলচ্চিত্রের দুর্গতি সেখানে এত নিচে নেমেছে যে, দর্শকদের বোনাস দিয়ে সিনেমা হলে ঢোকানো হচ্ছে। বহু বছর আগে চট্টগ্রামের একটি সিনেমা হলেও ঠিক একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

আজকাল সিনেমা হলে বাংলা চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে রুচিশীল দর্শকমাত্রই বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অতীতে যখন সুচিত্রা সেনের লিপসিংয়ে ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু’, ‘তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো’ গানগুলো শুনতাম এবং এখনও শুনি, তখন মনে হয়, বাংলা ছায়াছবির গল্প ও গান কতটা সমৃদ্ধ হতে পারে। এপার বাংলার ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রের নায়িকার ঠোঁটে যখন সুরের ধ্বনিতে অনুরণিত হয় ‘আমি ফুল কদমডালে, ফুটেছিনু বর্ষাকালে, সারাটা জনম গেল চোখেরই জলে’, ‘বানাইল মনিকার এমনই অলংকার, কোনোদিন কারও গলে শোভা পাইল না’, তখন মনে হয়, কোথায় হারিয়ে গেলেন সেই আমজাদ হোসেন? সেই আমজাদ হোসেন নেই, নাকি সেই প্রযোজক নেই, দর্শক নেই? দর্শক নেই, এ কথা বলা বোধহয় ভুল হবে। কারণ এখনও যদি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ বা ‘লাঠিয়াল’- এ ধরনের ছবি রিমেক করা হয়, তাহলেও সিনেমা হলে দর্শক হামলে পড়বে। কলকাতায় এখনও যদি ‘হারানো সুর’, ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’, ‘সবার উপরে’, ‘শিল্পী’ ইত্যাদি ছবি রিমেক হয়, তাহলে তাও দর্শক টানবে। তাই দর্শকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। দর্শকদের রুচি বদলে গেছে- এ কথা অন্তত আমি মানতে রাজি নই।

আসল ব্যাপারটি হল, সিনেমা তৈরির ব্যবসা এখন যে শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের হাতে পড়েছে, তাদের প্রায় সবারই মূল টার্গেট অন্যকিছু। কোনোমতে আসল টাকাটা ঘরে তুলতে পারলেই চলে, সেই সঙ্গে যদি নারীসঙ্গবিলাসী হওয়া যায়! একশ্রেণীর তরুণী-যুবতীকে রাতারাতি নায়িকা বানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পারাটাও সিনেমা ব্যবসার মুনাফা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। তাই রুচি বদল হয়েছে এই শ্রেণীর প্রযোজক-পরিচালকদের। ফলে হাল জমানার এই শ্রেণীর নায়িকারাও দর্শক টানতে পারছেন না। তাদের মধ্যে সুচিত্রা-উত্তম, আজিম-সুজাতা, রাজ্জাক-ববিতা, শাবানা-আলমগীরের মতো জুটি গড়ে না ওঠায় দর্শকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো চলচ্চিত্র দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ উঠতি নায়িকাদের প্রায় সবাই সেক্সসিম্বল হিসেবে সিনেমার পর্দায় আবির্র্ভূত হয়ে প্রযোজকদের চাহিদা মিটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের হারিয়ে ফেলছেন। আবার অনেক ধনীর দুলাল বাপের টাকায় বা বাপের ব্যবসার গদিতে বসে নিজেকে সিনেমার নায়ক বানিয়ে ফেলছেন। অর্থাৎ সিনেমা তৈরির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নিজেই প্রযোজক, নিজেই নায়ক বনে যাচ্ছেন। টাকার জোরে বনে যাওয়া এই শ্রেণীর নায়কও বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতিসাধন করে চলেছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাটক করার সময় এই শ্রেণীর টিভি নাটক হিরোদেরও দর্শন পেয়েছিলাম। এ বিষয়ে সে সময়ের একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে আমি বিটিভিতে নিয়মিত নাটক করতাম। মাসে অন্তত দুটি নাটকে অভিনয় করা একটি নেশায় পরিণত হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম চরম অরাজকতা! ভালো স্ক্রিপ্টের ভীষণ অভাব। জিয়া আনসারী, মূসা আহমেদ প্রমুখ প্রযোজক নিজেদের মর্জিমাফিক কাউকে কাউকে দিয়ে ফরমায়েশি নাটক লিখিয়ে নিতেন এবং নিজেরাও অফিসে বসে টুকটুক করে কী সব লিখতেন। আর আমাদেরও সেসব লেখা নাটকে অভিনয় করতে হতো। একমাত্র মমতাজউদ্দীন আহমেদ এবং আরও দু-একজনের লেখা ছাড়া ভালো স্ক্রিপ্ট পাওয়া যেত না বললেই চলে। এ অবস্থায় আমি নাটক লেখায় হাত দিলাম এবং দু-একটি নাটক লিখে জমাও দিলাম। কিন্তু আমার স্ক্রিপ্ট লাল ফিতায় আটকে গেল। একটি নাটকে ‘সুন্দর গল্প’ বলে নোট দেয়া হলেও ফাইল নড়ল না।

সে সময় একদিন সাকুরা হোটেলে আড্ডার সময় টিভি নায়ক মোজাম্মেল হোসেন বাচ্চু আমাকে বলেছিলেন, ‘প্রযোজকের ডিজায়ার ফুলফিল না করলে আপনার লেখা নাটক পাস হবে না।’ বলা বাহুল্য, আমি কখনও ওই পথের পথিক ছিলাম না। ফলে এক বছর পর নাটকটি পাস হয়েছিল। এ অবস্থায় আমার নাটক লেখায় ভাটা পড়লেও পরে আরও দু-একটি নাটক লিখেছিলাম। আর তারই একটির নাম ছিল ‘হারাণ মাঝি’। নাটকটি যে প্রযোজকের নামে অনুমোদন হল, তিনি তার সহকারীকে সব দায়িত্ব অর্পণ করে নিজে অন্য কারবারে ব্যস্ত থাকলেন। আর সহকারী সাহেব তার ইচ্ছামতো নায়ক-নায়িকা সিলেক্ট করলে আমি বাধা দিয়ে বললাম, আমার গল্পে এই নায়ক-নায়িকা মানাবে না। অবশেষে নায়িকাকে বাদ দিতে পারলেও নায়ককে বাদ দিতে পারলাম না। কারণ তিনি ছিলেন একজন বড় ব্যবসায়ীর পুত্র এবং নিজেও পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করেন বিধায় দামি গাড়ি হাঁকিয়ে টিভি সেন্টারে আসেন। যা হোক, সেই নায়ক এবং অন্য নায়িকা নিয়ে নাটকটি সেলুলয়েডবন্দি করে নির্ধারিত দিনক্ষণে সাপ্তাহিক নাটক হিসেবে প্রচারিত হলে দেখলাম, সেখানে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি। যদিও দর্শকরা নাটকটির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন এবং মূল প্রযোজক সাহেব ত্র“টি-বিচ্যুতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন; কিন্তু তাতে আমার মন ভরেনি। তাই সেদিন থেকেই নাটক লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম।

ঘটনাটির উল্লেখ করলাম এ কারণে যে, আমাদের দেশে সিনেমার ক্ষেত্রেও বর্তমানে অনেক ধনীর দুলাল রাতারাতি নায়ক বনে যাচ্ছেন। আর রাতারাতি নায়ক ও নায়িকা হওয়া এসব যুবক-যুবতী সিনেমার নামে যা উপহার দিচ্ছেন, তা ওই ‘চাকভূম চাকভূম’ কিসিমের একটা কিছু। সঠিক অর্থে সেটাকে চলচ্চিত্র বলা যায় না। ওইসব সিনেমা সপরিবারে হলে গিয়ে দেখাও যায় না। ফলে দেশের সিনেমা হলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ সিনেমার জন্য ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটার নেই, ত্যাগী প্রযোজক নেই, মেধাবী পরিচালক নেই। বর্তমানকালে একেকজন প্রযোজক-পরিচালকের নামধাম শুনলেই বোঝা যায় কেমন ছবি তারা উপহার দেবেন। একজন বাস ব্যবসায়ী অবলীলায় তার নিজস্ব চিন্তা দিয়ে গল্প বানিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করছেন, একজন ধনীর দুলাল নায়ক হচ্ছেন, গায়ে-গতরে যৌবনবতী একজন নায়িকা হচ্ছেন। বর্তমান বাংলাদেশি চলচ্চিত্রাঙ্গন এভাবেই আবর্তিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে মেধা, প্রজ্ঞা ও দর্শন প্রয়োজন, তার সবকিছুই সেখানে অনুপস্থিত থাকায় যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, বর্তমানে কলকাতায়ও একই হাওয়া বইছে। সেখানেও নায়িকাদের দেহসর্বস্ব চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে। সেখানকার চলচ্চিত্রে যারা অর্থলগ্নি করছেন, তারাও একশ্রেণীর মাফিয়া। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনুসারেই টালিগঞ্জ সচল রয়েছে। বর্তমানে সেখানে সেই সুচিত্রা-উত্তমও নেই, মনকাড়া কোনো গল্প-গানও নেই। সেখানকার সিনেমায় এখন জীবনের জয়গান নেই, আছে শুধু যৌবনের দাপাদাপি!

লেখাটির উপসংহারে যা বলতে চাই তা হল, সুচিত্রা-উত্তম যে ফিরে আসবেন না, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাই বলে বাংলা চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসবে না, তেমনটি ভাবতে হবে কেন? কলকাতায় দেখে এলাম, এতসব হতাশার মধ্যেও দু-একজন মেধাবী মানুষ এক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের দু-একটি শর্ট ফিল্মও আমি দেখেছি। আর আমাদের দেশেও দু-চারটি ভালো ছবি হচ্ছে। এক্ষেত্রে চ্যানেল আইয়ের প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। তাই মন বলছে, বাংলা চলচ্চিত্রে আবার নতুন ধারার সৃষ্টি হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই একদিন সুচিত্রা সেনের বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে হল, পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেন, পাবনার ছেলে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার যেমন একসময় বাংলা চলচ্চিত্রের পর্দায় ঝড় তুলে রেনেসাঁর সূচনা করেছিলেন, ‘সপ্তপদী’ ছবিতে সুচিত্রা সেনের ঠোঁটে যেমন অনুরণিত হয়েছিল ‘এই পথ যদি না শেষ হয়…’, ঠিক তেমনি বাংলা চলচ্চিত্রের পথচলাও শেষ হবে না। সেখানে আবার প্রাণ ফিরে আসবে। আর এপার-ওপার দুই বাংলাতেই তা হবে।

মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।