সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টাঙ্গাইলে জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর

সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে বিএনপির পদবঞ্চিত কর্মীরা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। একই সময়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে শহর থেকে দূরে কাগমারী এলাকায়। ২৯ ডিসেম্বর  শুক্রবার বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের আগমনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জেলা বিএনপির কমিটি কমিটি গঠনের পর থেকেই  পদাধিকারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক  উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই মাঝে নবগঠিত কমিটি কর্মী সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আরো উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

এ নিয়ে খারাপ পরিস্থিতির শঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পক্ষকেই শহরে কর্মী সম্মেলন করার অনুমতি দেয়নি। পরে জেলা বিএনপির মূল কমিটি পৌর এলাকার কাগমারী বালুচরা নামক স্থানে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মী সম্মেলনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই বিদ্রোহী কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এ সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে শহরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন,  প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিএনপি নামধারী আওয়ামীলীগের এজেন্টরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তারা। অপর দিকে বিএনপির সমাবেশে  চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ্ আমান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যদি সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে সারাদেশে আগুন জ্বলবে। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে কথা বলার অধিকার নেই, সমাবেশ করার অধিকার নেই। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবারও রাজপথে নামতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।
বিচার বিভাগ নিয়ে তিনি বলেন, আজ বিচার বিভাগ ভেঙ্গে পড়েছে। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এ দেশে আইনের শাসন নেই। জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ সামসুল আলম তোফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. মাহমুদুল হাসান, সাবেক মন্ত্রী  এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, পল্লী বিষয়ক সম্পাদক, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী সদস্য সাঈদ সোহরাব, নুর মোহাম্মদ খান, সামজ্জামান সুরুজ প্রমুখ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।