সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজ : কুরিয়ারে সিন্ডিকেড সিন্ডিকেড ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা কাস্টমস হাউজের কুরিয়ার শুল্কায়নে কাস্টসের নিষিদ্ধ ‘ওরা ১৭ জন’ মিলেমিশে সিন্ডিকেড সিন্ডিকেড ব্যবসা করছে। এদের মধ্যে একজন নেতাও রয়েছেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কুদ্দসের ভাগিনা আনিস সবার শীর্ষে। কুরিয়ার শুল্কায়ন ব্যবহার করে দুনম্বরি ব্যবসা করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক, রাজধানির কসাইবাড়ি মোল্লারটেক প্রেমবাগানে ৭/৮টি বাড়ি গড়ে তুলেছেন বলে সিএন্ডএফ ব্যসায়িরা জানান। নোয়াখালি সিন্ডিকেডও রয়েছে। মামাখ্যাত সিন্ডিকেড কম যান না। তবে মামা থাকে ধরাছোয়ার বাইরে। তার ভাই- কর্মচারিরা মাল টানছে।দুই নম্বরি কাগজপত্র, আইবিএম জালিয়াতি অনেক সময় ট্যাক্স ফাকি দিয়ে কাস্টমসকে ম্যানেজ করে ‘দে টান’ পদ্ধতিতে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে।
এই সিন্ডিকেড সদস্য ১৭ জনকে কুরিয়ারে শুল্কায়নে নিষিদ্ধ করে চিঠি জারি করেন তৎকালিন এডিসি মাহবুবুর রহমান। সিন্ডিকেড সদস্যরা প্রায় প্রত্যেকেই লাখ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে আবার ব্যবসা শুরু করে।এর মধ্যে মামা জরিমানা দেয় ৯ লাখ টাকার মতো। ভাগিনাকেও ছাড় দেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এর অগে এই কুরিয়ার শুল্কায়ন দিয়ে ফিল্মিস্টাইলে ৩০ লাখ টাকার পণ্য পাচার করার সময় কাস্টমস রুখে দাড়ায়। নেতাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। বিমানবন্দর থানায় মামলা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মামলা এখনও বিচারাধীন।ঘটনার নায়করা এখনও বহাল।
এখানে ব্যবসার করে দোকানবয় থেকে জসিম এখন কোটিপতি।কয়েক মাস আগে বিমামানবন্দর থানা পুলিশ জসিমকে আটক করে , রিমান্ডে আনে। সমঝোতায় তাকে বাদ দিয়ে অবশেষে মামলা করে পুলিশ।
সিন্ডিকেড সদস্যরা ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পেপার গ্রীণ দেখিয়ে প্রতিদিন ট্রলি ট্রলি করে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে, ্ কাস্টমসের সাথে গোপন কন্ট্রাক্ট থাকায় কাস্টমস পণ্য আটক করছে না।এদের মদ্যে সাইফলর একাই প্রতিদিন ৩-৪ ট্রলি পণ্য নিযে যাচ্ছে। টংগির বাসারও কম যান না।হাউজের সাথে চিকন লাইনে পেপারস গ্রীণ করে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে।এদের প্রায় প্রত্যেকের সিএন্ডএফ লাইসেন্স, খাচার লাইসেন্স রয়েছে।নতুন কোম্পানি খুলেছে নাজির- আনিস।কার্টনের জায়গায় কার্টন পড়ে আছে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে , কার্টনে অন্য কিছু দিয়ে ভরে রাখা হচ্ছে। ১০টি হাউজ করে ২০ টির মতো পণ্য নিয়ে যাচ্ছে।নিজেরা আইজিএম বানায় দুইনম্বরি পেপারস বানায়।সীলও নিজেরা বানিয়ে নেয়, একবার র‌্যাব এসব দুইনম্বরি কাগজপত্র জব্দ করে, কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।এদের মধ্যে জসিম রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা বার বার কুরিয়ারে অভিযান চালালেও আবার পুর্বাবস্থায় ফিরে আসছে। কুরিয়ারে এক মহিলা ডিসির আমলে প্রতিদিন ২ কোটি টাকার ট্যাক্স আদায় হতো। এখন তা নীেিচ নেমে এসেছে। ফ্রেইটের মতো এখানেও ২ জন ডিসির প্রয়োজন বলে ব্যবসায়িরা মনে করেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।