সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজ : লাইসেন্স শাখায় ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েচড়ে না, ক্যাশিয়ার রাহাতুল-কামরুল, এডিসি-ডিসির নামে ঘুষ আদায়!

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা কাস্টমস হাউজের লাইসেন্স শাখায় ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েচড়ে না। এডিসি-২ এবং ডিসির নামে এ ঘুষ আদায় করা হয়ে থাকে। এতে ক্যাশিয়ারের ভূমিকায় রয়েছেন দুই কেরানি কামরুল- রাহাতুল ওরফে রাতুল ওরফে হিন্দু বাবু। এরা লাইসেন্স শাখায় বদলি হয়ে আসার পর যেন পোয়াবারো অবস্থা, ফাইল প্রতি হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। নতুন লাইসেন্স, নবায়ন, লাইসেন্সের বিরুদ্ধে দোষ-ত্রুটি – এ সব ফাইল লাইসেন্স শাখায় আসার পর কামরুল-রাহাতুল ভাগ্য খুলে যায়। এ ঘুষের টাকা নাকি এডিসি- ডিসি পর্যন্ত যায়- এমন কথা প্রচার বেড়ান করে রাহাতুল-কামরুল। বলে বেড়ান পত্রিকায় লিখলে কিছু হবে না। আস্ফালন করে বেড়ান আমাদের হাত ওপর পর্যন্ত, মিডিয়াও আছে আমাদের পক্ষে। কতিপয় মিডিয়া কর্মীদেরও নাকি এ টাকার ভাগ দেয়া হয়ে থাকে। তাই মিডিয়া রাহাতুল-কামরুলের ঘুষের বিরুদ্ধে চুপচাপ। প্রতি বৃহস্পতিবার মিডিয়াকর্মীরা রাহাতুল-কামরুলের টেবিলে ঘির ঘির করে থাকে।
লাইসেন্স শাখায়, প্রতি ফাইলের নোটে ৫ হাজার, ফাইল খুজতে ২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। লাইসেন্স নবায়নে লাইসেন্স প্রতি ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। ঢাকা কাস্টমস হাউজে প্রায় ১৮শ সিএন্ডএফ লাইসেন্স রয়েছে, প্রতি লাইসেন্স নবায়নে ৫ হাজার করে ১৮শ লাইসেন্স নবায়নে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এবার দুদকের নজর পড়েছে লাইসেন্স শাখায়, দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
স্বপন নামের একজন নেতা লাইসেন্স শাখার কেরানি কামরুল- রাহাতুলের গ্যারাকলে, কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েও তার লাইসেন্স ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, স্বপনের স্টাফ লাইসেন্স শাখায় দিনের পর দিন ঘুরছেন, কিন্ত লাইসেন্সের ত্রুটি-বিচ্যুতি সারছে না।
এ দিকে লজিস্টিক বিজনেস সেন্টার নামে সিএন্ডএফ লাইসেন্স দুই নম্বরি পদ্ধতিতে পণ্য খালাস করে নিয়ে গেলেও ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে চুপচাপ। লাইসেন্সটি এ পর্যন্ত লকও করা হয়নি। একই ব্যক্তির আরেক লাইসেন্স মিল্টন এন্টারপ্রাইজে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছে। কাস্টমস ম্যানেজে গার্মেন্টস সুতার বস্তায় করে সিডি/ মেমরি কার্ড পাচায় হয়ে যাচ্ছে- যা গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন। প্রশ্ন ওঠেছে একই ব্যক্তির দুটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স অনুমোদন পায় কিভাবে?
এ ব্যাপারে একুশে বার্তার অনলাইনে গত ১৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্ত সিএন্ডএফ লাইসেন্স‘ লজিস্টিক বিজনেস সেন্টারের ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা এখনও নেয়া হয়নি।চলবে

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।