রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দণ্ডিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সচকিত জনগণ

খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে। তিনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন, তার প্রতিপক্ষকে সেখানে যেতে বাধ্য করবেন। তাছাড়া যারা খালেদার দুর্নীতির কারণে কারাভোগের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে বিশেষ ভাষায়, বিশেষ ভঙ্গিতে সমালোচনা করছেন, তারা ভালো করেই জানেন যে, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হলে তাদেরও একই পরিণতি হবে।

আরাম-আয়াশে অভ্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত আসামি। রাজনীতিবিদরা যে জেলের অভ্যন্তরে ঢোকেননি, বাস্তবতা এরূপ নয়। সেই ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া থেকে আজ পর্যন্ত অনেক রাজনীতিবিদদের কারাবরণ করতে হয়েছে। এই উপমহাদেশে অনেক প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ আছেন, বিশ্বে যাদের রাজনীতিবিদ হিসেবে সুনাম আছে, তারাও কারাভোগ করেছেন। জেলখানা থেকে যখনই মুক্তি পেয়ে বের হয়েছেন, তখন ফুলের মালা দিয়ে হাজার হাজার জনতা তাদের প্রিয় নেতাকে বরণ করেছেন। কেননা তারা কেউ দুর্নীতি করে কারাবরণ করেননি। কারণ তারা জনগণের পক্ষে ও জনস্বার্থ রক্ষা করার জন্যই আন্দোলন করেছেন। রাজনৈতিক কারণে তাদের কারাভোগ করতে হয়েছে। দণ্ডিত  হলেও তারা দণ্ডিত শ্রদ্ধেয় রাজবন্দি। জনগণের কাছে তাদের বিশেষ সম্মান রয়েছে। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মোট প্রায় ১৪ বছর কারা অন্তরালে থাকতে হয়েছে। অনেক সময় তাঁকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তারপর আইন-আদালত করে মুক্ত হতে হয়েছে। জনগণ জেল থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন। একবার স্মরণ করুন তো আগরতলা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কথা। সেনানিবাসে তাঁকে ক্যামেরা ট্রায়াল মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানি শাসকরা চেয়েছিল তাঁকে ফাঁসি দিতে। কিন্তু ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তাদের প্রিয় নেতাকে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে নিঃশর্তভাবে মুক্ত করে আনে। লাখো জনতার মাধ্যমে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকেও কারাবরণ করতে হয়েছে। একবার অন্তরীণ ছিলেন নিজ গৃহে (ধানমন্ডির-৩২ নম্বর) বেশ কয়েক দিন। তারপর সেনানিবাসে ডিজিএফআইয়ের তত্ত্বাবধানে আবদ্ধ থাকতে হয়েছে কিছুদিন। ১/১১-এর সময়ে সাব-জেলে ছিলেন বেশ কিছুদিন। তখন খালেদা জিয়াও সাব-জেলে ছিলেন কিছুদিন। এরপর তারা যখন বেরিয়ে এলেন, তখন জনগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছেন। বেগম জিয়াও কিন্তু সেই সম্মান পেয়েছেন। অবশ্য এবারের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নিম্ন পর্যায়ের আদালতে তিনি দণ্ডিত হয়েছেন অপরাধী হিসেবে। তাই তিনি অবরুদ্ধ। এবার যখন তিনি মুক্তি পেয়ে জেলখানা থেকে বের হয়ে আসবেন, তখন তার দলের নেতাকর্মীরা অনুরাগ ও শ্রদ্ধা যতই প্রদর্শন করুন, সম্মানে কারাগার থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না। একজন রাজনৈতিক বন্দি ও অপরাধে দণ্ডিত কারাবন্দি একই সম্মানের অধিকারী হতে পারেন না। এই উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এমন বেশ কিছু লোক এখনো ভারতবর্ষে জীবিত আছেন এবং ভারতীয় সরকার কর্তৃক নিয়মিতভাবে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন, অনেকে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছেন ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করছেন। এরূপ রাজবন্দির সংখ্যাও কম নয়। সমাজে তাঁরা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। নতুন প্রজন্মের মানুষ তাদের বিশেষ বিশেষ দিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এদের অনেকের বয়স ১০০ বছরের ওপরে। বাংলাদেশেও দুই-চারজন শ্রদ্ধেয় রাজবন্দি আছেন। তাঁরা রাষ্ট্রীয় ভাতা পান কি না, জানা নেই। তবে তাঁরা যে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন ও জেল-জুলুম সহ্য করেন, তাঁরা যে দেশের নাগরিক হোক, জনগণ তাদের শ্রদ্ধা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মহান বর্ণবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ১৮ বছর তার দেশের জনগণের জন্য আন্দোলন করে জেল খেটেছেন এবং তিনি বিশ্বের একজন মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব। এরূপ অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের এটাই পরিচিতি হওয়া উচিত। আমাদের দেশের চিত্রটা কিন্তু একটু ভিন্ন প্রকৃতির। এখানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া, এরূপ রাজনীতিবিদদের সাক্ষাৎ পাওয়া বিরল।

বাংলাদেশ ঘুরে দেখুন, বড় বড় শহরে যান, বড় বড় দালানকোঠা রাজনীতিবিদদের। ধানমন্ডির মতো জায়গায় ২ বিঘার জায়গা দখল করেছিলেন এমন এক নেতা, যখন মানুষ ৫ কাঠা জায়গার জন্য হাহাকার, এরূপ নেতাও বাংলাদেশে আছেন। নামে-বেনামে শত শত বিঘা জমির মালিক ও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। বড় বড় শহরে, বড় বড় অট্টালিকা বড় বড় রাজনীতিবিদদের। যারা বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। খুলনা শহরে তৎকালীন মুসলিম লীগের নেতা খান এ সবুর পরিত্যক্ত হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছিলেন। যেহেতু মুসলিম লীগ সুদীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার কারণে ওই দলের নেতাদের সম্পদ-প্রাচুর্য এখনো রয়েছে। কিছুদিন আগে একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছে এবং সবাই জানেন, রূপার চামচ মুখে নিয়ে তার জন্ম ও প্রাচুর্যের দাম্ভিকতার কমতি ছিল না। এমনকি ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার সময়েও তিনি এই দাম্ভিকতার ভাব দেখান।

শুধু মুসলিম লীগ নয়, যখন যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলের নেতারা জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করে সম্পদশালী হয়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল শহরে গেলে বড় বড় দালানকোঠা এসব সম্পদশালী সবাই রাজনীতিবিদ। সবাইকেই দুর্নীতিবাজ বলা যাবে না, তাদের মধ্যে সৎ লোকও পাওয়া যাবে। অনেকেই আবার বংশগতভাবেই ধনী ছিলেন। তাদের কিন্তু দোষ দেয়া যাবে না। উত্তরাধিকার সূত্রে তারা সম্পদশালী, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নয়। তবে যেসব রাজনীতিবিদ জীবনে অর্থসম্পদ অর্জন করেননি কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন, উচ্চমানের বিলাসবহুল ডজনখানেক ফ্ল্যাটের মালিক হন, কোটি কোটি টাকার গাড়ি ব্যবহার করে এবং সম্পদশালী হওয়ায় নিজেদের আত্মমর্যাদাশীল মনে করেন। তাদের দুর্নীতির মামলা হয় না, মামলা হলেও রায় নিজেদের পক্ষে যায়। তারা যে দলের লোক হোক না কেন, তাদের কি সম্ভ্রান্ত শ্রেণি বলা যাবে?

খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে। তিনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন, তার প্রতিপক্ষকে সেখানে যেতে বাধ্য করবেন। তাছাড়া যারা খালেদার দুর্নীতির কারণে কারাভোগের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে বিশেষ ভাষায়, বিশেষ ভঙ্গিতে সমালোচনা করছেন, তারা ভালো করেই জানেন যে, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হলে তাদেরও একই পরিণতি হবে। এসব সম্ভ্রান্ত, মর্যাদাশীল ব্যক্তিরা প্রায় সব দলই রয়েছেন। সাম্যবাদীদের কথা বলব না, তারা তো সম্পদের মালিকানায় বিশ্বাস করে না। তবে তাদেরও কেউ কেউ সম্পদশালী আছেন। সাম্যবাদে বিশ্বাসী সম্পদশালী হয়ে বিভিন্ন সময়ে আরাম ভোগ করতে দেখা গেছে। তবে প্রকৃত সাম্যবাদীরা অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখনো যদি সঠিক দল নিরপেক্ষভাবে বাংলাদেশে যারা বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ও তাদের সম্পদের সঠিক হিসাব তথ্য সংগ্রহ করা যায়, দেখা যাবে তাদের অনেকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। ৫০-এর কোঠায় পা রেখেছেন, দুইবার এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, শিক্ষাজীবন শেষ করে ১ পয়সাও আয়-রোজগার করেননি, ব্যবসা যাদের রাজনীতি, সেই ব্যবসায়ই তাদের সম্পদশালী করেছে। এরূপ একজন লোক কিছু বছর আগে তার অর্জিত সম্পদের হিসাব দিচ্ছিলেন। তিনি একবার ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন, বাকি জীবন একজন অত্যন্ত ক্ষমতাধর ব্যক্তির নিবিড় সাহচর্যে ছিলেন। যখন বললাম- ‘কেমন আছেন? উত্তরে বললেন ডাল-ভাত খাওয়ার উপায় হয়েছে।’ পাজেরো গাড়িতে আমার বাড়িতে এসেছেন এবং শত শত কোটি টাকার মালিক। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন মুক্তিযোদ্ধা। আগেই বলেছি, তিনি যেহেতু প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এরূপ শত সহস্র ব্যক্তি আছেন, অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন। যখন যে দল ক্ষমতাসীন হন, তখন সেই দলের নেতারা এসব দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকবজ। এরা একই সিন্ডিকেটের সদস্য। ক্ষমতার পালাবদল এদের কিছু যায় আসে না। এরা একটি দুষ্ট চক্র। যেনতেনভাবেই অর্থ উপার্জন তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। আমরা দেখেছি, দুদক একটি মামলা বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয়। এরপর তারা বিভিন্ন কলাকৌশলে রেহাই পেয়ে যান, শাস্তি পান না। যদি একটি বিষয় দেখেন যে, অর্জিত সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। তাদের সাজা দিতে ১৪ দিনের বেশি সময় প্রয়োজন হয় না। এই এত আইন-আদালত, দুদক আছে আর দুর্নীতির দায়ে কত লোককে দ্রুত শাস্তি পেতে হয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ দেখে যারা অতি মাত্রায় খুশি, যদি তাদেরও সঠিক বিচার হয়, এই ধরনের লোকেরা একদা কারাগারে আছে বলে বলা যাবে।

আইনে আছে উচ্চ শ্রেণির নাগরিকদের বিচার করতে হলে সরকারের উচ্চ মহলের আদেশ লাগবে। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা সম্পদশালী হলেন ও সমাজের মর্যাদাশীল নাগরিক বলে পরিচিত, তাদের অপকর্মের বিচার তাহলে হবে কীভাবে? তাই সচকিত সচেতন জনগণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার পর সচেতনভাবে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। তাহলে কি বাংলাদেশের সৎ, সাহসী ও মানবদরদি প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থেই এবার কঠোর হতে চলেছেন। তিনি কি একে একে সব দুর্নীতিবাজের গায়ে হাত দেবেন? তার দলে দুর্নীতিবাজরাও রেহাই পাবে না। সচকিত জনগণ সেই প্রতীক্ষায় রয়েছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা দেশকে যে পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জীবনযাপন করেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান যত কঠোর বলে শোনা যায়, এরই প্রতিফলন কি অদূর ভবিষ্যতে ঘটতে যাচ্ছে? সামনে জাতীয় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন সব প্রতিনিধি খুঁজে বের করবেন, যারা সত্যিই তার আদর্শ অনুসরণ করে, সৎ ও সাধারণ জীবনযাপন করে ও সম্পদের প্রতি মোহ যাদের খুবই কম, জনগণের প্রতি যাদের ওয়াদা রয়েছে, রাজনীতি বলতে যারা শেখ হাসিনার মতো জনকল্যাণ বুঝান, সচেতন জনগণ কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করছে। বিশ্বের সৎ শাসকদের মানদণ্ডে শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়।

বিশ্বের সব সংকটকালীন মুহূর্তে তিনি অবদান রেখে চলেছেন। মানবতাবাদী হিসেবে তিনি এক মহান নেত্রী। প্রায় একটানা ৯ বছর তিনি ক্ষমতায়। আর ক্ষমতাসীন কারণে জনগণের প্রাপ্তিও কম নয়। অন্য কোনো দেশ হলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে অনুরোধ করতেন, পুনরায় ক্ষমতায় থাকার জন্য। কেননা তার মতো সার্থক রাষ্ট্রনায়ক এদেশে আসেনি। কিন্তু উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা যেরূপ অগ্রসরমান সেই অর্থে দেশের প্রচলিত রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির ধারা কিন্তু একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। উন্নয়নের মহাসড়কে তিনি দেশকে যেভাবে তুলে ধরেছেন, দেশের প্রচলিত রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিকে তাকে একটা জোর ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের জন্য যা কিছু করতে চেয়েছিলেন, তা সত্যই বাস্তবায়ন করতে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। দলীয় দুর্নীতিবাজদের যেন রেহাই না দেন। বাংলাদেশ ও বিশ্ব জানে শাসক হিসেবে শেখ হাসিনা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। সব কিছু হারিয়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সরকার ও বিরোধী দলে থেকেও তিনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিশীল হয়ে কাজ করছেন। একজন রাজনীতিবিদের জীবনের শেষ অধ্যায় বলতে যা বুঝায়, সেখানে তিনি পা দিয়েছেন। সময় খুবই ক্ষীণ। প্রতিপক্ষের অধিকাংশই দুর্নীতিবাজ ও দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন। নিজ দল ক্ষমতাসীন থাকায় কেউ কেউ দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী তৎপরতায় ব্যস্ত। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন এই সংকটময়কালে দেশকে রক্ষা করতে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি দেশ সেবার মহান গুরুদায়িত্ব পালন করবেন, সেই প্রত্যাশা করে জনগণ। জয় হোক শেখ হাসিনার, জয় হোক জনতার।

ডা. এস এ মালেক : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।