মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মাঠে ৩ দলের কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতারা রসিক নির্বাচন : আর মাত্র ২ দিন বাকি

ডেক্স প্রতিবেদন : রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ২ দিন বাকি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে একদিকে যেমন মেয়র প্রার্থীরা নব উদ্যমে উজ্জীবিত হয়েছেন, তেমনি তাদের প্রচারণায় মুখরিত হয়ে পড়েছে গোটা নগরী। শুধু মুল নগরীই নয়, নগরীর বর্ধিত এলাকাগুলোও গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম হয়ে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা আর গণসংযোগে। পোস্টারে পোস্টারে অনেক আগে থেকেই ছেয়ে আছে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অলি-গলি। মেয়র প্রার্থী আর কাউন্সিলরদের বিরামহীন প্রচারণা আর গণসংযোগে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা মুখরিত হয়ে থাকছে দিন-রাত। এমন প্রচারণা এই সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন ২০১২তে দেখা যায়নি। প্রার্থী নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দিন-রাত। শরীরে আর চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ নেমে এলেও সেগুলোকে ঝেড়ে ফেলেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গনসংযোগ করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নিজ নিজ দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে বেশ আগে থেকেই ভোটের মাঠে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় হাই প্রোফাইলের নেতাদের পদচারণা। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা আর গণসংযোগে দলীয় প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মত এই নির্বাচনে প্রধান তিন দলই নিজ নিজ প্রার্থীদের জেতানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির হেভিওয়েট নেতারা। এসব হেভিওয়েট নেতৃবৃৃন্দের প্রচারণা আর গনসংযোগে নতুন উত্তাপের ছোঁয়া লেগেছে রংপুর সিটিতে। পাশাপাশি তাদের কাছে পেয়ে প্রার্থীরাও তাদের ক্লান্তি ভুলে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দিন রাত।
নৌকা
আওয়ামীলীগ প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর পক্ষে গত ১০/১২ দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছেন প্রায় ডজন খানেক কেন্দ্রীয় নেতা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসাইন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ নেতারা নৌকার প্রতীকের পক্ষে মাঠ চষে বেড়ান সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। গত রোববার সকালে নগরীর পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ এবং পথসভায় যোগ দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
সিটি কর্পোরেশনের এই নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য সেমিফাইনাল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তিনি বলেছেন, রংপুর সিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য এসিড টেস্ট। কারণ, আগামী জাতীয় নির্বাচনও তারাই করবে। এখন পর্যন্ত এখানে সবার জন্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। ফলে সব রাজনৈতিক দলের উচিত কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করা।
ধানের শীষ
বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই মাঠে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির হাইপ্রোফাইলের ৮/১০ জন নেতা। এর মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল গত সপ্তাহে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরেই মাঠে নামেন সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, সুলতান মাহমুদ টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল আসাদুল হাবিব দুলু। তারা দলীয় প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন এবং গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল দুপুরে রংপুরে আসেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনিও দিনভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ ও পথসভা করেন। এসব পথ সভা এবং গনসংযোগকালে তিনি বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। সেই সাথে তিনি ভোট কারচুপি ও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহবান জানান। এ সময় বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যেমন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ঠিক তেমনি রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের জন্য আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এ বিজয়ের ধারাবহিকতায় অন্যান্য সকল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো। ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার জন্য মহাজোট নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। সব ষড়যন্ত্রকে রংপুরের মানুষ রুখে দিবে।
লাঙ্গল
নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে মাঠ চষে বেড়াতে শুরু করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তার পক্ষে সভা-সভাবেশে ভোট চেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মনোনয়ন পত্র দাখিলের আগে থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ভোট চাইতে দেখা গেছে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই লাঙ্গলের পক্ষে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সদস্য হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মুন্সি আব্দুল বারীসহ জেলা, মহানগর এবং ছাত্র সমাজ ও যুবসংহতির নেতারা।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের দু’দিন ধরে রংপুরে অবস্থান করছেন। তিনিও নিজ দলের প্রার্থীদের জন্য অবিরাম প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। গতকাল দুপুরে রংপুরে এসেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি অবশ্য নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আগামী ২১শে ডিসেম্বর গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে আবারো প্রমানিত হবে “রংপুরের মাটি-এরশাদের ঘাটি”। তাই আমি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে আপনাদের মূল্যবান ভোটটি প্রতাশা করছি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা’র লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাপার সভাপতি সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র প্রার্থী মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আমি সাবেক ও বর্তমান ওয়ার্ড সমূহের সমন্বয় ঘটিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এছাড়াও প্রতিটি উৎসবে সকল ধর্মের দরিদ্র মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে চাই।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে প্রার্থী এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে চলেছেন। আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির সেক্রেটারী তুষার কান্তি মন্ডলের নেতৃত্বে নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে জাপার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী স্থানীয় সরকা মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে রংপুর থেকে চলে যাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেন। এ নিয়ে জাপার নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়। মশিউর রহমান রাঙ্গা তার এই আল্টিমেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে রংপুরে অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন স্থানে গিয়ে চা-নাস্তা খান। তবে তিনি তার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোন সভা-সমাবেশে যোগ দেননি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সরকারী সফরসুচীতেই তিনি রংপুরে এসেছেন।
মোস্তফার বিজয়ের পথ প্রসারিত দেখে ঝন্টু নিজেকে সামাল দিতে পারছে না -ইয়াসির
জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক সম্পাদক এসএম ইয়াসির ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ল্ঘংনসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকরা এরশাদ ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা সব সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা-সমাবেশ করে চলেছে। প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। সবখানে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট না দিতে ভোটাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। মোস্তফার বিজয়ের পথ প্রসারিত হওয়া দেখে সাবেক মেয়র ঝন্টু নিজেকে সামাল দিতে না পেরে আবোল-তাবোল বলে বেড়াচ্ছেন।
নৌকা-লাঙ্গলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান সাজানো নাটক- বাবলা
বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা অভিযোগ করে বলেছেন, জাতীয় পার্টির মন্ত্রীর সাথে তাদের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেয়া এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে দুই ঘন্টার মধ্যে রংপুর ছাড়ার আল্টিমেটাম দেয়ার ঘটনা জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। তারা এভাবে একদিকে নাটক করছে অন্যদিকে আচরণবিধি লংঘনের মহড়া মঞ্চস্থ করছে।
একজন মন্ত্রীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী বানানো হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে লাঙ্গলের প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আবার মন্ত্রী সাহেব রাতের বেলা সেই কাচারী বাজারে গিয়ে তার দলীয় লোকজন নিয়ে চা খাচ্ছেন। বিষয়টি আমার কাছে মনে হচ্ছে সাজানো নাটক। নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষকেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের পারমিশন দিয়েছে প্রভাব বিস্তারের জন্য। শুধূ আমার বেলায় তারা কঠোর হচ্ছেন। একটার বেশি গাড়িই ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। এজন্যই আমি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি।
বিএনপির দৃষ্টিতে মূল লড়াই
আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে সুলতান মাহমুদ টুকু বলেছেন, মাঠ মনিটরিং করে আমরা বুঝতে পারছি এই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে না। মূল লড়াইটা হবে লাঙ্গল ও ধানের শীষের মধ্যেই। জামায়াতের নীরব ভোটগুলো ধানের শীষের পক্ষেই যাবে। আমরা নির্বাচনের শেষ দেখতে চাই। তবে নগরবাসী মনে করেন, এবারের নির্বাচনে হবে ত্রিমুখী লড়াই।
এদিকে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের তৎপরতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন নগরবাসী। তাদের দৃষ্টিতে নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে গনসংযোগ ও তৎপরতা চালাচ্ছেন তার অর্ধেক তৎপরতা নেই স্থানীয় বিএনপির। দলীয় কোন্দলের কারনেই মুলতঃ কয়েকজন নেতাকর্মী ছাড়া বাবলার পাশে ছিলেন না তেমন কেউ। তাদের মতে, বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে থেকে শেষ মুহুর্তে এসে যেভাবে এখন তৎপরতা চালাচ্ছেন তা আগে থেকে চালালে বিএনপি আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতো। অনেক বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া করলো বিএনপি।
উল্লেখ্য, আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৬৫ জন এবং ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইনকিলাব

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।