শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : প্রকৌশল বিভাগে এস্টিমেট বাণিজ্য, ঘুষ ছাড়া কাজ মিলে না, নিরীহ ঠিকাদাররা পথে বসার উপক্রম

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশল বিভাগে ঠিকাদারি কাজের এস্টিমেট বা কাজের প্রাক্কলন বাণিজ্য জমজমাট, ঘুষ ছাড়া এস্টিমেট মিলে না, আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট উপসহকারি/ সহকারি প্রকৌশলীদের চাহিদামত ঘুষ দেয়ার পরও ঠিকাদারি কাজ মিলে না, অনেক সময় ঘুষের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডাও হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে বিপদ অনুভব করলে প্রকৌশলীরা অনেক সময় ঘুষের টাকা ফেরতও দিয়ে থাকেন। আর এদের হয়রানির শিকার সিএএবির নিরীহ ঠিকাদাররা। এরা অনেক সময় মানসিক যাতনায় ভুগেন।
সিএএবির সিভিল এবং ইএম বিভাগের সিন্ডিকেড প্রকৌশলীরা এই এস্টিমেট বাণিজ্যের নায়ক। এরা কোন কোন প্রভাবশালী ঠিকাদারকে একাই আবার ৩/৪ কোটি টাকার এস্টিমেট দিয়ে থাকেন। হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা, ঘুষের পাল্লা এতোই ভারি যে, কোন কোন ক্ষেত্রে উর্ধতন মহলের অনুরোধও ধুপে টিকে না। যিনি যার জন্য অনুরোধ করে থাকেন তাকে মাসের পর মাস অপেক্ষায় রেখে দেন, মূল বাজেটের টাকা শেষ হয়ে যায়, তখন সিন্ডিকেড প্রকৌশলীরা বলেন থাকেন, অপেক্ষায় থাকেন রিভারিজ বাজেট থেকে কাজ দেয়া হবে।এক সময় রিভারিজ বাজেটও শেষ হয়ে যায়, কাজ আর মিলে না। তখন বলে থাকেন আগামী বাজেট চলে আসছে , কাজ পাবেন।
এভাবেই দিনের পর দিন ,মাসের পর মাস বছর ঘুরাতে থাকেন সিন্ডিকেড প্রকৌশলীরা। এতে পথে বসে যায় নিরীহ ঠিকাদারা। এদের আর কিছুই করার থাকে না। আবার অনেক নামকাওয়াস্তে কাজ দিলেও বাজেটে টাকা থাকে না, এ কাজ নিয়ে ঠিকাদাররা ঘুরতে থাকে।
এই সিন্ডিকেড প্রকৌশলীরা এতোই বেপোরোয়া যে, এরা উর্ধতন মহলের কথায় কর্নপাত পর্যন্ত করে না। অনেক সময় প্রভাবশালি ঠিকাদারদের ফার্মের নামে প্রদানকৃত কোটি কোটি টাকার এস্টিমেট আটকে দিলে প্রভাবশলী ঠিকাদারা উর্ধতন কর্মকর্তার দরজায় এসে সাউটিং করে দরজায় লাথি পর্যন্ত মেরে থাকে। তখন ওই উর্ধতন কর্মকর্তাকে আনসার পাহাড়ায় অফিস করতে হয়। এমন ঘটনা সিএএবিতেই ঘটেছে।
ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না: সিএএবিতে একটি ঠিকাদারি কাজের এস্টিমেট থেকে শুরু করে ফাইনাল বিল পর্যন্ত প্রায় ১০০টি ঘাটে ঠিকাদারদের ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ না দিলে ফাইলে সই করা হয় না, একিউজ করা হয় না, টাকা কেটে দেয়া হয়, কাজের বিল আটকে দেয়া হয়। কাজের মূল্যায়নের সময়ও ঘুষ দিতে হয়।কোন কোন কাজের কারিগরি পরিদর্শনের জন্য বিদেশে যাবার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের টাকায় বিদেশ খরচ যোগান দেয়া হয়। বরিশাল বিমান বন্দরের একটি কাজের কারিগরি পরিদর্শনের জন্য ঠিকাদারের খরচে কয়েক প্রকৌশলীকে বিদেশে পাঠানো হয়। দুদক প্রকৌশলীদের ঘুষ/ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও মামলা করে না, কোন প্রকৌশলীকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়, কোন প্রকৌশলীকে ২ স্ত্রীসহ দুর্নীতি অভিযোগে তলব করলেও তা ভেস্তে যায়। দুদক নোটিশ করেই চুপসে যায়। যদিও কক্সবাজার বিমান বন্দরে এসি কেলেংকারির ঘটনায় দুদক মামলা করেছে। চলবে

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।