শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

ডেক্স রিপোর্ট : বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। গত বছরের মে মাসে কাতার সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রফতানি ও ব্যবসা–বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

শেখ হাসিনা গত মে মাসে কাতার ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহায় যান। সে সময় আমিরের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জ্বালানি ইস্যুতে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮-২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরো অধিক এলএনজি সরবরাহ চায়।

ঢাকা সফরকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকে জ্বালানির ইস্যুটিতে অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, জনশক্তি, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে প্রায় ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেখানে থাকতে পারে এয়ার সার্ভিস চুক্তির সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহণ সেবা চুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জনশক্তি রপ্তানি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কাতারের বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মাওয়ানি কাতার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। এখন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, বিমান সেবা চুক্তির সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, দ্বৈত কর প্রত্যাহার, শুল্ক খাত, উচ্চশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ ও যৌথ কমিশন গঠন ইত্যাদি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্দি বিনিময় নিয়ে একটি সমঝোতা সই নিয়ে আলোচনা চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত মার্চে ঢাকা-দোহা প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমিরের সফরে সেই সহযোগিতার বাস্তব রূপরেখা কি হবে, তা নিয়ে কথা হবে। সমঝোতা মতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা। তাছাড়া দেশটির নৌবাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার আওতায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাতারে কাজ করছেন।

শীর্ষ পর্যায়ের এই সফরে মোটাদাগে দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়া আরও পোক্ত হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।