বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ডাক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ১০০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা : ইন্টারনেটের দাম কমছে

ডেক্স প্রতিবেদন :  নবনিযুক্ত আইসটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার চ্যালেন্ঞ হিসেবে ১০০ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। ৩ জানুয়ারি বুধবার বিকালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস) কার্যালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার কর্মপরিকল্পনার কথা তুলেন ধরেন।

এ সময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি আমার কাজ দৃশ্যমান করতে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে প্রথম কাজ হলো ইন্টারনেটের দাম কমানো। এজন্য শিগগিরই বিটিআরসির সঙ্গে বসবো। তাদের সমস্যাটা কোথায় সেটা জানতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমার কর্মপরিকল্পনার মধ্যে আরেকটা উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হলো সরকারের মন্ত্রণালয় ও সেবাখাতকে ডিজিটালাইজড করা। যদিও এটা কঠিন কাজ। কারণ, সরকারের ভেতরে থাকা কিছু মানুষ এটা করতে দিতে চাইবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চান। তাই আমি এটা করবো। এছাড়াও আমি ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করতে চাই।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের যেভাবে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল সেভাবে পাচ্ছে না। টেলিকম কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে ব্যান্ডউইথ কিনে ডাটা হিসেবে বিক্রি করছে। তাদের এটা করতে দেয়া উচিত না। মোবাইল অপারেটরগুলো ভয়েস কলের জন্য মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করেছে। অথচ বেশি দামে ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট বিক্রি করছে। তাই আমার প্রথম প্রয়োরিটি ইন্টারনেটের দাম কমানো।’

মন্ত্রী সভার নতুন এই সদস্য বলেন, ‘মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশকে বদলাতে হলে সরকারে সব সেবাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এর পরেই গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা। এসব কাজ করার জন্য আমি আগামী একবছর সংগ্রাম করে যাব।’

এই তথ্যপ্রযুক্তি বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অন্ধ গলিতে আছে তথ্যপ্রযু্ক্তি বিভাগ।’

এই দুইটি খাতকে সঠিক পথে আনতে করণীয় কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন ডাক্তার যখন রোগীর রোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানেন এবং এর চিকিৎসাও জানেন তখন রোগ সারানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। অন্ধ গলির শেষ দেয়ালটা ভেঙ্গে দিলেই সমাধান মিলবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি চাই দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার এদের চাহিদা মেটাক। আমি কোনো ভাবেই বিদেশি সফটওয়্যার এদেশের বাজারে আধিপত্য করতে দেবো না।’

হার্ডওয়্যার খাতকে প্রধান্য দিয়ে এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বলেন, ‘হার্ডওয়্যার খাত এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। দেশে প্রযু্ক্তিপণ্য যাতে উৎপাদিত হয় সেজন্য এখাতে কাঁচামাল আমদানি শুল্ক এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমার বিশ্বাস আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য দেশের মানুষের চাহিদা মেটাবে।’

শিক্ষার ডিজিটালাইজেশন নিয়ে মোস্তাফা জব্বারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেকার সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য প্রথম শ্রেণি থেকে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, নতুন সিলেবাস তৈরি এবং পাঠ দানের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব ধরণের সহযোগিতা করব আমরা।’

সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।