বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সরকারের মেয়াদ শেষে মন্ত্রিসভায় ছোট আকারে রদবদল : টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হচ্ছেন মোস্তফা জব্বার : প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র ফুল মন্ত্রী হচ্ছেন: রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত এবং লক্ষীপুরের এমপি একেএম শাহজাহান কামালকেও মন্ত্রী করা হচ্ছে : ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার শপথ

ডেক্স প্রতিবেদন : সরকারের মেয়াদের একবারে শেষে মন্ত্রিসভায় ছোট আকারে রদবদল করা হচ্ছে। মৎস্য সম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দকে ফুলটাইম মন্ত্রী করা হচ্ছে। এমমপি না হওয়ায় বাইরে থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মোস্তফা জব্বারকে মন্ত্রী করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজবাড়ীর সংসদ সদস্য কাজী কেরামত এবং লক্ষীপুরের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালকে মন্ত্রী করা হচ্ছে। ২ জানুয়ারী মংগলবার বংগভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে জানা গেছে।

এরা তিনজনই বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বারও।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তার পদটি শূন্য রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্রকে সেই দায়িত্বই দেওয়া হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে কর্মকর্তাদের কথায়।

১ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ার খবর নিয়ে আলোচনা চলছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ফোন পাওয়ার পর কক্ষ বদলের জন্য তৎপরতাও দেখা গেছে।

মোস্তফা জব্বার যেহেতু সংসদ সদস্য নন, তাকে মন্ত্রিসভায় আনতে হবে টেকনোক্র্যাট হিসেবে। বাকিরা কে কোন দায়িত্ব পাচ্ছেন তা মঙ্গলবার শপথের পরই স্পষ্ট হবে।

৭২ বছর বয়সী নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫  আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনবার। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করলে নারায়ন চন্দ্রকে দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

 

কয়েকজনের শপথ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় আরও কিছু রদবদল আসতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে সচিবালয়ে। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের স্পষ্ট কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছেন এমন দুই-একজনকে বাদ দিয়ে নতুন দুই-একজনকে আনা হতে পারে। কারও কারও দপ্তরও বদল হতে পারে।”

গত দুই বছরও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো পরিবর্তনে হাত দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার বড় কোনো পরিবর্তন আসার আভাস মিলেছে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, “খুব বেশি না, বড় কিছু না।”

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।