একুশে বার্তা রিপোর্ট : সাফের শিরোপা জিতে দেশে ফিরে কৃষ্ণা-শামসুন্নাহাররা পেয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা। সঙ্গে জুটেছে তিক্ত অভিজ্ঞতাও। বিমানবন্দর থেকে বাফুফে কার্যালয়ে গিয়ে রাতের বেলা নিজেদের ল্যাগেজগুলো পেয়ে দেখেন সেখান থেকে চুরি গেছে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সামগ্রী।
নারী দলের দুই ফুটবলার কৃষ্ণা রাণী সরকার আর শামসুন্নাহারের ল্যাগেজ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর থেকে সম্পূর্ণ অক্ষত ও তালাবদ্ধ অবস্থায় ল্যাগেজ নিয়ে যায় বাফুফে কর্তৃপক্ষ। ল্যাগেজ নেবার সময় কোনরকম কাটাছেড়া ও খোলা অবস্থায় ছিল না কোন ল্যাগেজ। ৫টি সিসিটিভি বিশ্লেষণ রিপোর্টেও ল্যাগেজ অক্ষত রেজাল্ট আসে। তাই বিমানবন্দরে ল্যাগেজ কাটাছেড়া বা চুরির ঘটনা ঘটেনি বলে পরিচালক জানান। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এতোবড় ঘটনায় কোন সংবাদ সম্মেলন করেনি,একখানা প্রেস বিঙপ্তি দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছে।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, ‘লাগেজ থেকে অর্থ চুরির বিষয়ে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি। এছাড়া মতিঝিল থানা ও এয়ারপোর্ট থানাতে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
যদি চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া না যায় বা চুরির ঘটনা শনাক্ত করা না যায় তাহলে কৃষ্ণাদের চুরি যাওয়া অর্থ বাফুফের পক্ষ থেকেই ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কিরণ।
এসময় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এভিয়েশন ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আমাদেরকে জানানো হবে।’
হারানো বা চুরির ঘটনাটি কাঠমুন্ডুতেও হতে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রওনা হয়েছি কাঠমুন্ডু থেকে। কাঠমুন্ডু-ঢাকা বিমানবন্দর সহ অনেক জায়গায় মুভ করেছে মেয়েরা। বাফুফে ভবনেয়াসার পর তাদের লাগেজগুলো এখানি ছিলো, অন্য জায়গার সঙ্গে বাফুফে ভবনের ফুটেজও দেখা হবে প্রয়োজনে।’
এ দিকে ২ সাফ ফুটবলার কৃষ্ঞা- নাহারের ল্যাগেজ চুরির ঘটনায় শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক ২২ সেপ্টেম্বর এক প্রেস বিঙপ্তিতে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এপিবিএন পুলিশ চুরির বিষয়টি তদন্ত করছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে ল্যাগেজ চুরির ঘটনা নতুন নয়। ইতিপূর্বে সাবেক এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ল্যাগেজ চুরির ঘটনাও ঘটেছে।এক এমপির ডলার চুরির ঘটনাও ঘটেছে বিমানবন্দর্। ডা. দীন মোহাম্মদের ডলার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় সিএএবির একজন নিরাপত্তা সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়।দীর্ঘদিন সাসপেন্ড অবস্থায় থাকার পর তার সাসপেন্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে।বর্তমানে ওই নিরাপত্তা সুপার সিএটিসি-তে কর্মরত। ওই সুপার আবার সরকার দরীয় চীফ হুইপের নিকট আত্মীয়।