সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
পরীক্ষায় অংশ নিতে চান ওই ছাত্রী

ডেক্স রিপোর্ট : কিছুদিন পরেই আমার পরীক্ষা। আমি পরীক্ষা দেবো তোমরা ব্যবস্থা করো। পরিবারের সদস্যদের এমনটিই জানিয়েছেন কুর্মিটোলায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এখন পুরোপুরি ভালো আছেন। তার মানসিক অবস্থা অত্যন্ত দৃঢ়। পারিবারিক সূত্র জানায়, ধর্ষক আটকের সংবাদ শুনে ওই ছাত্রী সৃষ্টিকর্তার কাছে শোকরিয়া আদায় করেন। ধর্ষককে আটক করার পর সকালে তাকে ধর্ষকের ছবি দেখানো হয়। এসময় প্রথম দেখাতেই চিনতে পারেন।

বলেন, ‘হ্যাঁ এই সেই কালপ্রিট। আমার মেমোরি থেকে সব ছবি মুছে গেলেও ওর চেহারা ভুলে যাবো না। আগামী ১২ই জানুয়ারি তার দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্ত। তার কথা ‘একটি অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার জন্য কি সব কিছু থেমে থাকবে। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যেহেতু ভালো ভাবে ফিরে এসেছি। এখন আমি থেমে থাকবো না। পরীক্ষা দিব। আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাব’।

ওই ছাত্রীর পরিবারের একজন সদস্য জানান, সকালেও আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। সে আমার পায়ে ধরে সালাম করেছে। আমরা নিজেরা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছি। তাকে সর্বদা সাহস যোগানোর চেষ্টা করছি। তার মা প্রথম দিকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেও এখন সে যথেষ্ট ঠিক আছে। সে সারাক্ষণই মেয়ের সঙ্গে আছে। ধর্ষক শুধুমাত্র আমাদের মেয়ের একার ক্ষতিই করেনি। ইতোমধ্যে সে আরো অনেকের ক্ষতি করেছে বলে প্রশাসনের কাছে স্বীকার করেছে। তার অপরাধ অনুযায়ী যেন শাস্তি হয় এটা আমাদের একমত্রা প্রত্যাশা এবং দাবি থাকবে। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে শোকর গুজার করি যে সে বেঁচে ফিরেছে। তাকে তো মেরেও ফেলতে পারতো। গতকাল যখন দেখা করতে গিয়েছি তখন বললো, আমি পরীক্ষা দিব। তোমরা ব্যবস্থা কর। পরীক্ষাটা যেন দিতে পারি।

তিনি বলেন, তার মাথার মধ্যে এখন একটি বিষয়, সেটা হল পরীক্ষা। আমরা যতটুকু ভেঙ্গে পরেছি। সে তার চেয়েও বেশি শক্ত আছে। ওর বাবা-মা এটা ভেবে আনন্দিত যে অপরাধী অবশেষে ধরা পরেছে।

Bottom of Form

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।