সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
চাদা তুলে সিভিল এভিয়েশনের বদলিকৃত বিদায়ী চেয়ারম্যানকে আবারও ‘ফেয়ারওয়েল’ : উত্তরা ক্লাবে মধ্যরাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বিশেষ সংবাদদাতা : চাদা তুলে সিভিল এভিয়েশন থেকে তিন মাসে আগে বদলিকৃত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহছানুল গনি চৌধুরীকে দ্বিতীয়বার ‘ফেয়ারওয়েল’ দেয়ার আয়োজন করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। আগামী ১১ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে এ ‘ফেয়ারওয়েল’ অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছে সিএএবির প্রশাসন বিভাগ। এর আগে গত ১০ অক্টোবর বদলিকৃত চেয়ারম্যান এহছানুল গনিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমে ফেয়ারওয়েল দেয়া হয় বলে সিএএবির সূত্রে জানা গেছে। আবার একই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার চাদা তুলে জামজমকভাবে রাজধানীর একটি অভিজাত ক্লাবে ‘ফেয়ারওয়েল’ দেয়া হচ্ছে। আর এ জন্য সিএএবির প্রশাসন বিভাগ থেকে দাপ্তরিক চিঠি জারি করে সিএএবির প্রত্যেক অফিসারকে তাদের পরিবারসহ উত্তরা ক্লাবে ১১ ডিসেম্বর সন্ধায় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে প্রশাসনের ওই দাপ্তরিক চিঠিতে চাদার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। চাদা তুলে বদলিকৃত চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় দফায় ফেয়ারওয়েল দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএএবির একাধিক কর্মকর্তা। তারা আপসোস করে বলেন, চাদা তুলে কেন চেয়ারম্যানের ফেয়ারওয়েল ? সিভিল এভিয়েশনের টাকার কি অভাব আছে? ২ হাজার টাকা চাদা না দিয়ে পরিবারের জন্য বাজার করলেও তো প্রায় ৩-৪ দিন চলা যেতো। ডিভিশন-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোকাব্বর আলী চাদা তুলে বদলিকৃত চেয়ারম্যানের ফেয়ারওয়েল দেয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি মনে করেন বদলিকৃত চেয়ারম্যান আরো কিছুদিন সিভিল এভিয়েশনে থাকলে উন্নয়নের গতি বৃদ্বি পেতো। তার আমলে বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে। নতুন চেয়ারম্যানের আমলে ইজিপির গন্ধে উন্নয়ন থমকে গেছে। সিএএবি সূত্রে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশনে সহকারি পরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মরত। প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা করে চাদা দিলে চাদার টাকার পরিমাণ হবে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো। এই টাকা সবটাই কি খরচ করা হবে নাকি ওয়েলফেয়ার ফান্ডে জমা হবে –এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সিএএবির সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দর ওয়েলফেয়ার ফান্ডে প্রতিমাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আয় হলেও তার হিসাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। কমিটি ছাড়াই গঠনতন্ত্র ছাড়াই ওয়েল ফেয়ার কমিটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে বলে কর্মচারীরা পরিচালক বরাবর অভিযোগ করছেন। কিন্ত এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে কর্মচারীরা জানান।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।