সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফের খারিজ : আপিল করবে বিএনপি

ডেক্স রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ  ২৮ ফেব্রুয়ারি  দুপুরে এ আদেশ দেয়। জামিন আবেদনে নতুন কোন কারণ না পাওয়ায় কথা জানিয়ে হাইকোর্ট তা খারিজ করেছেন।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া একজন বন্দী ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। একজন সাধারণ মানুষের মতো সুযোগ, সুবিধা একজন বন্দী পেতে পারেন না। তবে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মতি দিলে  মেডিকেল বোর্ডকে দ্রুত তা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। বোর্ড চাইলে তাদের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে পারবে।

হাইকোর্টের আদেশে হতাশা প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, এ আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। জামিন আবেদনটি আদালতের বিবেচনায় নেয়া উচিত ছিল।

আমরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।বিএনপির আইনজীবী  ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছেন, আপিল করা হবে।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি’র পাঠানো রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, খালেদা জিয়া ডায়বেটিস, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা, বাতজ্বর ও কাঁশিসহ ব্যাক পেইনে ভুগছেন।  অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্ট দেয়ার বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিলো সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু তিনি অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্ট গ্রহণের বিষয়ে কোনো সম্মতি দেননি।
রিপোর্ট উপস্থাপনের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া কেন অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্টে সম্মতি দেননি সেটা জানা দরকার। হয়ত এই ট্রিটমেন্ট গ্রহণে তার জীবন শঙ্কায় পড়তে পারে। এই দিক বিবেচনায় হয়ত তিনি অনুমতি দেননি। তার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের আইনজীবীদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করা দরকার। এ জন্য বিষয়টি রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালত বলেন, আপনারা মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন, আমরা সেই রিপোর্ট তলব করেছি। রিপোর্ট আদালতে এসেছে। এখন ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী আদেশ দেব। জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের একটি সম্পূরক আবেদন রয়েছে। আমরা আবেদনটি আপনার আদালতে দিতে চাই।পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়ার এই রোগগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আছে। যখন কোনো বন্দি কারাগারে থাকেন তখন সরকারেরও তার বিষয়ে উদ্বেগ থাকে। এ পর্যায়ে কোনো সম্পূরক আবেদন দেয়ারও সুযোগ নেই। পরে আদালত দুপুরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।