সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সংসদে ঘুষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রীকে তুলোধুনা : পদত্যাগ দাবি :

একুশে বার্তা ডেক্স : ঘুষ খাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে সংসদে শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব সিদ্দিকী শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ দাবি করেন। ,  ‘ আপনারা সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খান ‘ শিক্ষামন্ত্রীর  ওই বক্তব্য সরকারের ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’ করেছে বলে দাবি করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীবের। তবে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ ঘুষ খাওয়ার বিষয়টি সংসদে দাড়িয়ে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,যে বক্তব্য ঘিরে পদত্যাগের দাবি সংসদ সদস্য  তুলেছেন, তা গণমাধ্যমে খণ্ডিতভাবে আসায় বিভ্রান্তি তৈরি করেছে । তিনি বলেছেন, ঘুষ নেওয়ার কথা তিনি বলেননি।

৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় বিষয়টি তুলে তাহজীব বলেন, “অতিকথন দোষে দুষ্ট আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর অতি বিতর্কিত মন্তব্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

“পত্রপত্রিকায় দেখেছি মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন- ‘আপনারা সহনীয় পর্যায় ঘুষ খাবেন। ঘুষ খেতে না বলার নৈতিক সাহস আমার নেই। কারণ আমি ঘুষ খাই, মন্ত্রীরা ঘুষ খায়।‘ এই বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তাকে অবশ্যই সংসদে দাঁড়িয়ে তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে।”

তাহজীব আলম সিদ্দিকী

“তিনি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হলে জনগণের কাছে সরকারকে বিতর্কিত না করে উনার উচিৎ নিজ পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া,।

গত মাসে শিক্ষা ভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, যাতে কর্মকর্তাদের ‘সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ব্যাখ্যায় বলা, আট বছর আগের অবস্থা কেমন ছিল বোঝাতে গিয়ে মন্ত্রী সভায় ওই কথা বলেন। এরপর বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতির এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম অতীত বিষয়ক বক্তব্য ও তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন প্রশ্ন ফাঁসের সমালোচনা করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান।

এদিকে সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মাদক নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি করেন।

তিনি বলেন, “এলাকায় গেলে আইন-শৃঙ্খলার বৈঠকে প্রথম ওঠে ইয়াবা নিয়ে। স্কুলে স্কুলে ইয়ারা ছেয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ থেকেও ভয়াবহ হচ্ছে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা আমার জানার বিষয় নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দাবি করব।”

মাদক ব্যবসায়ীদের প্রকারন্তরে হত্যার দাবি তুলে তিনি বলেন, “আমি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান- যদি সরকারের কাছে তথ্য থাকে যে আমি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাহলে আমাকে হত্যা করুন। আমাকে হত্যা করে হলেও দেশটাকে বাঁচান।”

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।