সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
১৫২ বছর পর দেখা গেল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ

একুশে বার্তা ডেক্স : ১৫২ বছর পর গত ৩১ জানুয়ারি  বুধবার একই সঙ্গে পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার সাক্ষী হলেন বিশ্ববাসী। এর আগে ১৮৬৬ সালে এমন ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ খুব ভালোভাবে দেখা যায়। এছাড়া পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বাসিন্দারাও এ বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হন। একই সঙ্গে এই জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাটি দেখা যায় বাংলাদেশ থেকেও। একই দিন পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাঁদ রক্তিম রঙ ধারণ করে।

এ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিটে চাঁদ দিগন্তের উপরে ওঠে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে শুরু হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মধ্যবর্তী অংশ ছিল ৭টা ২৯ মিনিটে। একই সঙ্গে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট স্থায়ী হয়ে রাত ১০টা ৮ মিনিটে এটির উপছায়া পর্যায় শেষ হয়। ওই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর দু’টি পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করে। ক্যাম্প দু’টির একটি হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মানমন্দির। অন্যটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কলাপাড়া, পটুয়াখালী। এবং এটি দেশবাসীকে দেখানোর জন্য ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খোলে। এছাড়া, চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নানা প্রস্তুতি হাতে নেয়। এর মধ্যে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার মান্ডায় অবস্থিত গ্রিন মডেল টাউনে। ওই ক্যাম্প থেকে ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ঢাকার বাইরে রাজশাহীর রুয়েটে, বরিশালে, পঞ্চগড়ে, ঝিনাইদহ জেলায় ও অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্যোগে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। তাদের ক্যাম্প শুরু হয় সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।